ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২
  • ১০০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘গণসংহতি আন্দোলন’কে নিবন্ধন দিতে উচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা না মানায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির আবেদনে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রুল দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়। পরের বছরের ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক চিঠির মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না বলে জানায়। পরবর্তী সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে দলটির প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানির পর আদালত দলটির নিবন্ধন প্রশ্নে রুল জারি করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল যথাযথ ঘোষণা করেন এবং রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন কে এম নুরুল হুদা।

পরবর্তী সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়। আদালত থেকেও রায় সিইসির দপ্তরে পাঠানো হয়। তার পরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এরপর বিভিন্ন সময় দলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয় নুরুল হুদাকে। ওই নোটিশের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন গণসংহতির নিবন্ধনের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এর পরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি সিইসি কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে অবেদন করেন গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ নেতা জোনায়েদ সাকি।

আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আবেদনটি কে এম  নুরুল হুদার বিরুদ্ধেই করা হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সিইসি পরিবর্তন হওয়ায় আদালতের নির্দেশে বর্তমান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে বিবাদী করা হয়েছে। এখন রুলের জবাব বর্তমান সিইসিকেই দিতে হবে। ’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

আপডেট টাইম : ০২:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘গণসংহতি আন্দোলন’কে নিবন্ধন দিতে উচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা না মানায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির আবেদনে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রুল দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়। পরের বছরের ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক চিঠির মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না বলে জানায়। পরবর্তী সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে দলটির প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানির পর আদালত দলটির নিবন্ধন প্রশ্নে রুল জারি করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল যথাযথ ঘোষণা করেন এবং রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন কে এম নুরুল হুদা।

পরবর্তী সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়। আদালত থেকেও রায় সিইসির দপ্তরে পাঠানো হয়। তার পরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এরপর বিভিন্ন সময় দলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয় নুরুল হুদাকে। ওই নোটিশের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন গণসংহতির নিবন্ধনের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এর পরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি সিইসি কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে অবেদন করেন গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ নেতা জোনায়েদ সাকি।

আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আবেদনটি কে এম  নুরুল হুদার বিরুদ্ধেই করা হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সিইসি পরিবর্তন হওয়ায় আদালতের নির্দেশে বর্তমান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে বিবাদী করা হয়েছে। এখন রুলের জবাব বর্তমান সিইসিকেই দিতে হবে। ’